বাহরাইনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন।
মানামা: যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী জন্মবার্ষিকী পালন করেন বাংলাদেশ দূতাবাস বাহরাইন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, দুটি প্রামাণ্যচিত্র ও উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ১৯৪৯ সালের ৫ই আগস্ট তদানীন্তন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ কামাল ছিলেন অনেক ধরনের প্রতিভার অধিকারী ও তারুণ্যের রোল মডেল। তারুণ্যদীপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেছেন। জনাব শেখ কামাল একাধারে যেমন দেশের সেরা ক্রীড়াবিদ ছিলেন, তেমনি ছাত্র হিসেবেও ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি দেশীয় সংস্কৃতি লালন ও চর্চা করতেন। অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতার অধিকারী ছিলেন তিনি। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন ‘আবহানী ক্রীড়াচক্র’ ও ‘স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী’। শেখ কামাল ঢাকা থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন।
রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেন, বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ই আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব কেবল একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিণীই নন, বাঙলি মুক্তি অন্যতম এক নেপথ্য অনুপ্রেরণাদাত্রী। এই মহীয়সী নারী বাঙলি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছে। দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকে অসংখ্যবার কারাবরণ করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু অর্বতমানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সেই কঠিন দিনগুলোতে ছিলেন দৃঢ় ও অবিচল। তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই আর্দশ ও চেতনাকে অবলম্বন করে বাংলাদেশকে আজ সুখি-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, ড.ইসলাম বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক ২০২৩ যারা লাভ করেছেন, তাদেরকে তিনি শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
পরিশেষে, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের পাশাপাশি বাঙলির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা এসকল অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।