বাংলাদেশে আমদানি বাড়বে চাল ও গম
২০২৩-২৪ বিপণন বছরে বিশ্ববাজার থেকে বাংলাদেশের চাল ও গম আমদানি বাড়বে। গম আমদানি ৮ লাখ ও চাল আমদানি বাড়তে পারে ২ লাখ টন। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি দপ্তরের ‘খাদ্য শস্য:বিশ্ববাণিজ্য ও বাজার’ শীর্ষক সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২-২৩ বিপণন বর্ষে বাংলাদেশ বিশ্ববাজার থেকে ৫০ লাখ টন গম আমদানি করেছে। আগামী বিপণন বর্ষে আর ৮ টন বেড়ে আমদানি হতে পারে ৫৮ লাখ টন। বিশ্বে উৎপাদন ও ভোগ বাড়ছে। দামও কমছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি মৌসুমে আর্জেন্টিনা, কানাডা, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত ও তুরস্কে তুলনামূলক বেশি পরিমাণে গম উৎপাদন হবে। বিশ্বে এবার প্রায় ৭৯ কোটি টন গম উৎপাদন হতে পারে। যা গত মৌসুমের চেয়ে প্রায় ১৫ লাখ টন বেশি। ভারত থেকে গম রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ফলে বাংলাদেশকে কৃষ্ণসাগর উপকূলীয় ইউক্রেন, রাশিয়া, তুরস্ক, বুলগেরিয়া, জর্জিয়া ও রোমানিয়ার গমের ওপর নির্ভর হতে হবে।
চালের ব্যাপারে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২-২৩ বিপণন বছরে বিশ্বে ৫২ কোটি ১০ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়েছে। যা গত মৌসুম থেকে এক কোটি ২০ লাখ টন বেশি। তবে এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও ভারতে উৎপাদন ভালো উৎপাদন হয়েছে। বাংলাদেশে উৎপাদন আশাব্যঞ্জক উৎপাদন হলেও মজুদের প্রয়োজনে আমদানি বাড়তে পারে। এ মৌসুমে বাংলাদেশের চাল আমদানি দুই লাখ টন বেড়ে ১০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী সমকালকে বলেন, বিশ্ববাজারে গম ও ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত অর্থবছরে গম আমদানি নেমে এসেছে ৫০ লাখ টনে। যা অন্যান্য সময় ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টন ছিল। তবে করোনা কমে আসা ও উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে মানুষের। সে কারণে এবার গম আমদানি ৫ লাখ টন পর্যন্ত বাড়তে পারে।