তেজগাঁওয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত গত ৩১ জানুয়ারি বিকালে শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, বাংলাদেশ আলো থেকে আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না। বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার সব রঙিন খোয়াব অচিরেই কর্পূরের মতো উড়ে যাবে। বাংলাদেশে রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন হবে না। তারেক রহমান রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গিয়ে হুঙ্কার দিচ্ছেন টেক ব্যাক বাংলাদেশ।
৩০ জানুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পথ হারিয়ে বিএনপি পদযাত্রা শুরু করেছে। তাদের রাজনীতি ভুলের চোরাগলিতে আটকে গেছে। পদযাত্রা করে উদ্ধার করা যাবে না।
২৮ জানুয়ারি দুপুরে উত্তরা আজমপুর আমির কমপ্লেক্সের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ফেলার দিবাস্বপ্ন দেখে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ পালানোর দল নয়, আওয়ামী লীগ পালাবে না। আমরা রাজপথে আছি এবং থাকব। বিএনপি ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা বিএনপির পদযাত্রা নয়, মরণযাত্রা। আগামী নির্বাচনে বিএনপির রাজনৈতিক মরণ হবে।
২৭ জানুয়ারি বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথ সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জোটের আন্দোলন চলে রিমোট কন্ট্রোলে অদৃশ্য নির্দেশে। দেশে আজগুবি খবর ছড়াচ্ছে বিএনপি ও তার দোসররা। সকল শক্তি এবং বেশ কিছু অপশক্তি আওয়ামী লীগবিরোধী জোট গঠন করেছে বিএনপির নেতৃত্বে।
২৬ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সারাবছর, প্রতিদিনই কর্মসূচি থাকবে আওয়ামী লীগের। জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। রাজপথ ছাড়বেন না, শহর ছাড়বেন না, সতর্ক থাকবেন প্রতিদিন। আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে নেই। নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে, মাঠে আছি, থাকব। আমাদের প্রতিদিন কর্মসূচি আছে। বিএনপি কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেÑ এমন প্রশ্ন তুলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা ঘরেই তো গণতন্ত্রের চর্চা করে না। তারা দেশে গণতন্ত্র কীভাবে আনবে? তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশে না-কি গণতন্ত্র নেই। তারা নিজেরাই গণতন্ত্রের চর্চা করে না। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির কত হাঁকডাক, মির্জা ফখরুলের লালকার্ডের ফলাফল শূন্য। বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন জোয়ার থেকে ভাটায় নেমে গেছে। তাদের কথা বিশ্বাস করে না এদেশের জনগণ।
২৩ জানুয়ারি রাজধানীর মিরপুরের কচুক্ষেত রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছে। বিএনপির সঙ্গে নেই। টেমস নদীর পাড় থেকে আসা অদৃশ্য নির্দেশে চলা বিএনপি রাজনীতিকে নষ্ট করেছে। এর অবসান হতে হবে। এ থেকে বের হতে না পারলে বিএনপি কখনও আন্দোলন ও নির্বাচনে সফল হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ হত্যাকারী। যারা ১ কোটি ভুয়া ভোটার, ভুয়া ভোটের জন্ম দিয়েছে; তারা কী করে রাষ্ট্র মেরামত করবে? রাষ্ট্র মেরামত করবে শেখ হাসিনার সরকার। তার সরকার দেশে প্রথম নির্বাচন কমিশনকে আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা বিএনপি ধ্বংস করেছে। আর শেখ হাসিনা তা মেরামত করেছেন। বিশ্ব সংকটে বিশ্বের বড় বড় দেশ যেখানে সংকটে সেখানে অনেকেই বাংলাদেশের সুনাম করছে।
২০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় প্রধান কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রকে নষ্টকারী বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা পায় না। আমাদের গণতন্ত্র আমরাই চালাব। বিদেশি কারও ফরমায়েশে চলবে না। তিনি বলেন, শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও শেখ হাসিনা গণতন্ত্র বিকাশে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ১৭ জানুয়ারি বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, হতাশায় বিএনপির বাজার ভেঙে যাচ্ছে, বিএনপির জোটের বাজার ভেঙে যাচ্ছে, এ হতাশার জোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার হটানো দূরাশার বাণী। সরকারের পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসুন। সরকার নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাবে না, নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশনার। দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাবে কে? ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার শক্তি বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের নেই।
১৬ জানুয়ারি দুপুরে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এবং ভাটারার মাদানী এভিনিউ ১০০ ফুট রাস্তায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, টানেলসহ উন্নয়নের একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়নে বিএনপি চোখে সরষে ফুল দেখছে। কারণ, তারা এসব উন্নয়ন কখনোই দেখাতে পারেনি। খাদ্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় বিএনপির মনে জ্বালা। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শত শত সেতু। সামনে ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ আরেকটি মেট্রোরেল লাইন হবে এবং পাতালরেলের উদ্বোধন হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি এমআরটি লাইন গড়ে ঢাকার আশপাশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।