বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ডাকে সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম নগরীতেও পালিত হচ্ছে স্বর্তস্ফুর্ত হরতাল।
ভোর থেকেই নগরীর জামাল খান, আন্দরকিল্লা, নন্দনকানন, নিউ মার্কেট, চকবাজার, ষোলশহর দুই নাম্বার গেইট, বহদ্দারহাট, জিইসির মোড়, দামপাড়ার মত কর্মব্যস্ত এলাকায় অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা যথেষ্ট কম দেখা যায়। মানুষের উপস্থিতি ছিল কম।
হরতালের সমর্থনে আগের দিন বিচ্ছিন্ন কিছু জায়গায় মিছিলের খবর পাওয়া যায়। অনেক এলাকায় মানুষ হরতাল সমর্থনকারীদের পক্ষেও নিজেদের সম্মতি জানান বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
হরতালের বিষয়ে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চালকদের সাথে কথা প্রতিবেদকের। তারা জানিয়েছেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন আপাতত। তবে এই হরতালের যৌক্তিকতা আছে বলেও মতামত দেন তারা।
অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আকাশচুম্বী প্রত্যাশা থাকলেও দেশ চালাতে পুরোপুরিই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন ইউনূস। আর তাই দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে এমন কর্মসূচি দেয়া আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বলেই মনে করেন নগরবাসী। তবে হরতালে কোনো সহিংসতা দেখতে চান না তারা, এমনটাও জানান।
অন্যদিকে নগরীর দামপাড়া থেকে ঢাকাগামী বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে পুলিশের সর্তক অবস্থান লক্ষ্য করা গেলেও তাদের সংখ্যা ছিল অপ্রতুল।
রাতে নগরীতে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের হলেও ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কোথাও কোন পিকেটিং বা মিছিলের খবর পাওয়া যায়নি।
গত বছর পাঁচ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এই প্রথম হরতালের মতো কর্মসূচী পালন করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।